শিল্প খাতে নারীর কর্মসংস্থান কমেছে। এর পেছনে মূল কারণ নারী ও পুরুষের বৈষম্য। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। ‘প্রোমোটিং ফিমেল এমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ ফর রিয়েলাইজিং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এই বেসরকারি গবেষণা সংস্থার বিশেষ ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন বছরে (২০১৩ থেকে ২০১৬) শিল্পখাতে সাড়ে ৮ লাখ নারীর কর্মসংস্থান কমেছে। ভাবা হয় নারীরা পুরুষের সমান শিল্পখাতে অবদান রাখতে পারবে না। এ জন্য সংকুচিত হচ্ছে নারীর কর্মসংস্থান। বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নারীরা।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, নারীদের ‘আনপেইড’ কাজের সংখ্যা বেশি। এগুলো গণনা করা হলে জিডিপিতে নারীদের অবদান ৭৭ থেকে ৮৭ শতাংশ হতে পারত।
Advertisement
মূলত ২০০২ সাল থেকে ধীরে ধীরে দেশে নারীর কর্মসংস্থান কমতে শুরু করে। বর্তমানে দেশে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের অংশগ্রহণ ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ। নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ সারা বিশ্বে গড়ে ৫০ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে প্রতিনিয়তই কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ কমে যাবে। তাছাড়া, নারীরা কম মজুরিতে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন, এটাও বন্ধ করা দরকার। সেইসঙ্গে, নারীরা যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তা রোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন ও বসবাসের স্থানও নারীবান্ধব হতে হবে। তবেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে নারীদের জন্য বেশি বেশি কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে, আমাদেরও সেই পথে হাঁটতে হবে। খাবার রান্না ও গৃহস্থালি কাজের স্বীকৃতি পায় না নারী। এসব কাজ জিডিপিতে অন্তর্ভুক্তি দরকার।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমিনিতি উইন্থার, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, বিবিএস পরিচালক (ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড লেবার উইং) কবির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএ/জেডএ/এমএস