সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামে ৪ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল মান্নানের হাতে তাকে সোপর্দ করে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনগণ।
Advertisement
ধর্ষক কলবাড়ী গ্রামের মৃত সোবহান গাজীর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৫০)। পেশায় ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের জন্ম কলবাড়ীতে হলেও বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে মুন্সিগঞ্জ কুলতলীতে বসবাস করেন।
কন্যাশিশু মরিয়মের বাবা মো. কামরুল মোল্লা জানান, ‘রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে আমার ভাই হয়। সে ভ্যান চালিয়ে পানি খাওয়ার জন্য আমাদের বাসায় যায়। দুপুরের দিকে আমি কাকড়া পয়েন্টে কাজ করছিলাম আর আমার স্ত্রী অন্যের ঘেরে কাজ করছিল। আমি বাসার জন্য কিছু মাছ কিনে দিয়ে মাকে ফোন করি। মা মাছটা নেয়ার জন্য বাসার বাইরে আসে। এ সময় মা পানি খেয়ে রফিকুলকে চলে যেতে বললেও সে যেতে নারাজ হয়। পরে মা মাছ নিয়ে ঘরে ফিরে যা দেখে, তা আমি একজন কন্যা শিশুর পিতা হয়ে মুখে বলতে পারব না। আমি ধর্ষক রফিকুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মাধ্যমে এই ধর্ষণের ঘটনার খবর পাই এবং তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। মেয়ের এবং তার বাবা-মায়ের বক্তব্য শুনেছি, ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। তাকে আটক করে শ্যামনগর থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/এসআর/পিআর