দেশজুড়ে

বাগেরহাট কালেক্টরেট ভবনের অর্ধশত কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ

গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তিনটি ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। বুধবার রাতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে অনেক কক্ষ অফিস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার মধ্যে সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঘুর্ণিঝড় কোমেন মোকাবেলায় জরুরি সভা  হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, অধিকাংশ কক্ষগুলোর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে। ভাবনের ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। কার্যালয়ের ছাদ ও পিলারে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাঁটল। কার্যালয়ের একটি তিন তলা ও দুটি দ্বিতল ভবনের ছাদ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে কয়েকটি কক্ষে গাছের বল্লি (খুঁটি) দিয়ে ছাদ ঠেস দেওয়া হয়েছে।ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলোর মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জায়গা না থাকায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কক্ষে পলিথিন মুরি দিয়ে গুরুত্ব কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।এ অবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় ও আদালত এবং রাজস্ব শাখা, জুডিশিয়াল মুন্সি খানাসহ অধিকাংশ দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না।বাগেরহাট গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রোকনউদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ভারি বর্ষণে এ ভবনের যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে তাতে উপরের ছাদ ফেলে নতুন ছাদ করা ছাড়া বিকল্প কোনো কিছুই করা ঠিক হবে না। অধিক ঝুকিঁপূর্ন কয়েকটি কক্ষে বল্লি (গাছ) দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছে।বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা  প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণে জেলা কালেক্টরেটের একটি তিন তলা ও দুটি দ্বিতল ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন দফতরের মূল্যবান নথিপত্রসহ আসবাব, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বুধবার দুপুরের পর অনেক কর্মকর্তারা দফতরের সরঞ্জাম নষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।এতে একদিকে যেমন দাফতরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে একই সঙ্গে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারণ। তাই দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ অথবা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।শওকত আলী বাবু/এমজেড

Advertisement