দেশে মূল্যস্ফিতির হার গত এপ্রিলে কিছুটা কমেছে। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত দুই খাতেই সার্বিক মূল্যস্ফিতির হার কমেছে মার্চের চেয়ে।
Advertisement
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, সার্বিকভাবে এপ্রিলে মূল্যস্ফিতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে এপ্রিল মাসে মার্চের তুলনায় দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি কমেছে। মার্চে যেখানে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ব্রিফিং শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। এ সময় তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
Advertisement
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে দেশের মূল্যস্ফীতি কমেছে। এটা ভালো লক্ষণ। দেশীয় উৎপাদিত পণ্য ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম থাকায় দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। আগামী দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ ছাড়া ‘অর্থবছর শেষে বাজেটের লক্ষ্য এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গ্রামাঞ্চলে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা মার্চে ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
শহরে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় এপ্রিলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
Advertisement
এমএ/এএইচ/পিআর