আইন-আদালত

এবার আ.লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরের আপিল

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টে তিন মাসের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সরকার সমর্থিত আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আবেদন করেছেন চেম্বার জজ আদালতে।

Advertisement

মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবেদন ফাইল করেছি, আগামীকাল শুনানিও হতে পারে। তবে আবেদনের ওপর কোনো নম্বর পড়েনি।

অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম দুটি বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করেছেন। প্রথমত রিটের পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য এবং অপরটি হাইকোর্ট থেকে গাজীপুর সিটির নির্বাচন স্থগিত করে দেয়া আদেশও প্রত্যাহার (স্থগিত) চেয়েছেন তিনি।

এর আগে সোমবার দুপুর বেলা দেড়টার দিকে সুপ্রিম কোর্টে এসে আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন আমিও আপিল করবো।

Advertisement

জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি নিজেও চলমান প্রক্রিয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চান। তাই হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলম আজ সকালে আপিল করা হতে পারে বলে সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এর আগে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আবেদন দায়ের করেন।

চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর খাস কামরায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার অনুমতি পান বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে। পরে বিকেলে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত কজলিস্টের শীর্ষে (টপ লিস্টে) থাকবে বলে জানান আইনজীবীরা।

Advertisement

চেম্বার জজের খাস কামরায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মো. আলী, ব্যারিস্টার এএম এহসানুর রহমান ও সগীর হোসেন লিয়ন। ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৬ মে রোববার ভোটের মাত্র ৯ দিন আগে নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে, ঢাকা জেলার অন্তর্গত ৬টি মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৬টি মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং নির্বাচনের তফসিল নিয়ে সাভারের শিমুলিয়া এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ রিটটি করেন।

২০১৩ সালে এই ৬টি ঢাকা জেলার মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ হয়। এই ৬টি মৌজা হলো-শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ি, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল (আংশিক), দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে এই সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার সব প্রস্তুতি চলছিল। জমে উঠেছিল নির্বাচনী প্রচারণাও। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।

এফএইচ/এমআরএম/আরআইপি