ক্যাম্পাস

ছাত্রলীগের চাপে ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ নেতাদের চাপের মুখে অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাকরির দাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগ নেতাদের চাপের মুখে তা স্থগিত হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিয়োগ বোর্ডে অংশ নিতে আসা সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীরা।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসাকরীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা আশানুরূপ কোনো ফল না পাওয়ায় বাইরে এসে হট্টগোল শুরু করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্য প্রশাসনকে চাপ দেন।

Advertisement

পরে দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডসহ মোট তিনটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ ও আইটি সেলের কর্মকর্তা নিয়োগ বোর্ড স্থাগিত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে চাকরি প্রত্যাশী কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কিন্তু অনেক বিভাগে পদ খালি থাকলেও বর্তমান প্রশাসন সেগুলোতে নিয়োগ দিচ্ছে না। ছাত্রলীগের দুর্দিনের সময় ত্যাগী নেতারা ছাত্রলীগ ও আওয়ামীপন্থীদের বিভিন্নভাবে সহাযোগিতা করলেও বর্তমান প্রশাসন তা ভুলে গিয়ে আজ ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে কাজ করছে।

তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি বিভাগের নিয়োগের সঙ্গে তাদের বিষয়টিও চূড়ান্ত করতে হবে। আর এই বিষয়ে কোনো মৌখিক আশ্বাস নয় প্রশাসনকে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়োগ বোর্ডের অনূকুলে না থাকায় বোর্ডগুলো স্থগিত করা হয়েছে। অতি শিগগিরই নতুন করে সবগুলো বোর্ডের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

Advertisement

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/আরআইপি