আন্তর্জাতিক

এ কেমন বর্বরতা!

ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝাড়খণ্ডে আবারও ধর্ষণের পর এক তরুণীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, ১৭ বছর বয়সী ওই তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

ধর্ষণ ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত আটদিনের মধ্যে ঝাড়খণ্ডে এ নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের পর আগুন ধরিয়ে দেয়ার নৃশংস ঘটনা ঘটলো।

গত রোববার (২৯ এপ্রিল) ঝাড়খণ্ডে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ধর্ষকরা। এতে ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যান ওই কিশোরী। তবে এ দুই ঘটনার একটির সঙ্গে অপরটির সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা! 

Advertisement

ঝাড়খণ্ড পুলিশ বলছে, ভারতে যৌন সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ দুই ঘটনা ঘটেছে। ঝাড়খণ্ডের সর্বশেষ এই ঘটনায় ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র বার্নওয়াল বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক আমাদের বলেছেন, তিনি ওই তরুণীকে বিয়ে করতে চাইতেন। কিন্তু ওই তরুণী প্রস্তুত ছিলেন না।’

শুক্রবার পাকুর জেলায় এক গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে ওই তরুণীর ওপর হামলা চালায় অভিযুক্ত যুবক। এই যুবক সেখানে তাদের পাশেই বসবাস করে।

আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে বিয়েতে সতীত্বের পরীক্ষা, নীরবে দানা বাঁধছে বিদ্রোহ 

Advertisement

পুলিশের তথ্য বলছে, ওই তরুণীকে একা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক। পরে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে, গত ২৯ এপ্রিলের ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনসহ আরো ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। এরপরই শুক্রবার পাকুর জেলা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে একই ধরনের ঘটনা ঘটলো।

এ দুই ধর্ষণের ঘটনার জেরে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের সংখ্যালঘু যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়ের আট বছরের কিশোরী আসিফাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দেশটির দুই পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে।

আরও পড়ুন : ফোনে অশ্লীল ম্যাসেজ, শিক্ষককে পিটিয়ে শিক্ষা দিলেন ছাত্রীরা

দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিশুর ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের একটি আইনে অনুমোদন দেয়া হয়।

ভারতে গুরুতর বেশ কিছু অপরাধের সর্বোচ্চ সাজার বিধান থাকলেও শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ছিল না। ২০১৬ সালে ভারতে প্রায় ৪০ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে কলঙ্কের দাগ লাগার ভয়ে অনেকেই ধর্ষণের শিকার হলেও তা গোপন রাখেন।

সূত্র : বিবিসি।

এসআইএস/আরআইপি