‘আমরা গত ২৬ দিন ধরে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলাম। খুবই দুর্বিসহ জীবন-যাপন করেছি। আমাদের বাবা-চাচারা বিদ্যুৎ অফিসে বারবার গিয়ে কোনো লাভ হয়নি। একে একে ২৬ দিন চলে গেছে। লেখাপড়া প্রায় বন্ধ ছিল। আমার তো খুব গরীব তাই আমাদের কথা ভাবার কারো সময় নেই। শেষ পর্যন্ত আপার অর্ডারে ওরা এসে সব ঠিক করে দিয়ে গেছে।’ এভাবেই নিজের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা জানালেন মধুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রবিউল ইসলামের মেয়ে মিনা খাতুন।
Advertisement
সূর্যদয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবাসনের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, জেলার সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নে ভবতিপুর, চাপড়ি গ্রামের আবাসনে আমরা থাকি। এখানে অর্ধশত মানুষের বসবাস করছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বাসিন্দারা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিনযাপন করছিলেন।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন জানান, জমির উপরে গাছ গাছালি থাকার কারণে স্থানীয় লোকজন বাধা সৃষ্টি করে, যে কারণে বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। পরে ঝিনাইদহ সদর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম জানান, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় ছিল। আমাকে আগে থেকে কেউ কিছুই জানায়নি। জানালে আরও দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দিতাম।
Advertisement
আহমেদ নাসিম আনসারী/আরএ/জেআইএম