কৃষি ও প্রকৃতি

টার্কিতে স্বপ্নবুনন

বর্তমানে বাংলাদেশে বিশেষায়িত পোল্ট্রি প্রজাতিগুলোর মধ্যে টার্কি ব্যাপক সম্ভাবনাময়। এর অন্যতম কারণ এর শারীরিক বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়। টার্কির মাংসে চর্বি ও কোলেস্টেরলের পরিমাণও অনেক কম। যা স্বাস্থ্যসম্মত এবং রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী। লাভজনক হওয়ায় রাজধানীর আশেপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টার্কি খামারির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

Advertisement

তবে খামার বাড়লেও সঠিকভাবে পরিচর্যার অভাবে অনেকেই আশানুরূপ ভাল ফল পাচ্ছেন না। বাচ্চা ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা, সঠিকভাবে খাবার ও টিকা প্রদান, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ডিম উৎপাদন, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ সার্বিক বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে খামারিদের সার্বিক বিষয়ে ধারণা দিতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বায়োকেয়ার টার্কি সেন্টারের সৌজন্যে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সেন্টারের (বিএআরসি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব টার্কি সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিয়মিত কর্মশালারও আয়োজন করা হয়। এসব কর্মশালায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে টার্কি খামারিরা ছুটে আসেন। তাদের লাভজনকভাবে খামার গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

গত ৪ ও ৫ মে এ রকমই একটি ট্রেনিংয়ে অংশ নেন টাঙ্গাইলের কালিহাতির টার্কি খামারি মো. আলী আজম। তিনি বলেন, ‘এতদিন অব্যবস্থাপনার কারণে আমি বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এই ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়ে আমি নিজের কাজের ভুলগুলো এখন ধরতে পারছি। আশা করি শিগগিরই তা শুধরে নিতে সক্ষম হবো।’

টার্কি খামারি ও বিশেষজ্ঞ মো. আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘টার্কি বাংলাদেশে ব্যাপক সম্ভাবনাময়। অন্যান্যরা যাতে লাভজনকভাবে খামার গড়ে তুলতে পারে সে ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি।’

Advertisement

ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নিজেও একটি টার্কি খামার গড়ে তুলেছেন নিতান্তই শখের বশবর্তী হয়ে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘টার্কি একটি বিদেশি জাত। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে এরা সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টার্কি খামার গড়ে তুলে অনেকেই পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সক্ষম হচ্ছেন। খামারিরা যাতে মানসম্মত উপায়ে লাভজনকভাবে খামার গড়ে তুলতে পারে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এমএমজেড/জেআইএম