ধর্ম

রোজা অবস্থায় ব্রাশ-পেস্ট ও মেসওয়াক ব্যবহারে কী করবেন?

রোজাদারের মুখের গন্ধ মহান আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। হাদিসে পাকে এ ঘোষণা দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেন, ‘রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশ্ক আম্বরের চেয়েও বেশি সুগন্ধি।' এর অর্থ এ নয় যে, রোজায় মেসওয়াক না করা। কিংবা মেসওয়াক না করে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার চেষ্টা করা।

Advertisement

অনেকেই এ ভুলটি করে থাকেন যে-যেহেতু রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় তাই মেসওয়াক করার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং রোজাদার যদি এমনটি চিন্তা করে রোজা অবস্থায় মেসওয়াক করা থেকে বিরত থাকে তবে সে এ ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে।

>> মেসওয়াকমেসওয়াক অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। তাই রোজার সময়ও সকাল, দুপুর, বিকালসহ সব নামাজের সময় ওজুতে মেসওয়াক করা সর্বোত্তম আমল। সব অবস্থায়ই রোজাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। রোজা রেখে মেসওয়াক না করে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করা অনুচিত। এ ব্যাপারে প্রত্যেক রোজাদারের সতর্ক থাকাও জরুরি।

>> ব্রাশ-পেস্টরোজা অবস্থায় ব্রাশ-পেস্টের মাসআলা আলাদা। মানুষ সাধারণত ব্রাশের সঙ্গে পেস্ট, মাজন বা পাউডার ব্যবহার করে থাকে। রোজা অবস্থায় পেস্ট, গুল, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিস্কার করা নিষিদ্ধ। কারণ এগুলো গলার ভেতরে চলে গেলে রোজাই নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি গলার ভেতরে না-ও যায়, তবুও রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমনটি মেসওয়াকের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় না।

Advertisement

যদি কেউ পেস্ট ছাড়া ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে চায়; তবে তা করতে পারবে। তবে উত্তম হলো মেসওয়াক করা। কেননা মেসওয়াক করায় যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আদায় হয়। আবার মেসওয়াক করায় রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজা অবস্থায় পেস্ট, মাজন, পাউডার বা গুল দিয়ে ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতের আমল জিন্দা রাখতে নিয়মিত মেসওয়াক করে সর্বোত্তম সুন্নাতের সাওয়াব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

Advertisement