অর্থনীতি

সুসংবাদের পরও দরপতনের বৃত্তে শেয়ারবাজার

চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন মেলার মতো সুসংবাদ আসার পরও দরপতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার।

Advertisement

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার পরও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমায় মূল্যসূচকের এই পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস উভয় বাজারে দরপতন হলো।

মূল্যসূচকের পতন হলেও এদিন প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বীমা, তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ এবং বস্ত্র খাতের কল্যাণে যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। প্রধান বাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ৬টির শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭টির। আর ৬টির দাম অপরিবর্তিত। আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪টির। আর ৩টির দাম অপরিবর্তিত।

Advertisement

অন্যদিকে প্রকৌশল খাতের ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৮টির মধ্যে ১০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ৬টির ও ২টির দাম অপরিবর্তিত।

বীমা খাতের ৪৭টির মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৭টির ও ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতের ৮টির মধ্যে ৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে একটির দাম কমেছে। ওষুধ খাতের ২৯টির মধ্যে ২০টির দাম কমেছে এবং বাকি ৯টির দাম কমেছে। আর বস্ত্র খাতের ৫০টির মধ্যে ৪১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত।

এদিকে মূল্যসূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনের কার্যক্রম শেষে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থা করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৯ পয়েন্টে।

Advertisement

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক, জেএমআই সিরিজ, ড্রাগন সোয়েটার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নাহি অ্যালুমিনিয়াম।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৫ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত ২৪টির।

এমএএস/জেএইচ/পিআর