জাতীয়

‘স্যরি বলে পার পাবেন না ডিআইজি মিজান’

অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক নারী সংবাদ পাঠকের সঙ্গে নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।

Advertisement

গত ৩ মে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সাংবাদিক এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি স্যরি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

আরও পড়ুন >> ডিআইজি মিজানের অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানের এমন দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘স্যরি বলে পার পাবেন না ডিআইজি মিজান। অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement

‘গৌরব ৭১’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান ও গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা– ২০১৮’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ডিআইজি মিজানের ‘স্যরি’ বলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তার মন্তব্য জানতে চান।

আরও পড়ুন >> ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা নেবে’ মন্ত্রণালয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্যরি বললেই কি পার পাওয়া যায়? স্যরি বলে যদি মাফই পাওয়া যাবে তাহলে দেশে আইন-কানুন থাকার কী দরকার! তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে স্যরি বললেও তাকে মাফ করা হবে না, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সম্পদের তদন্তে দুদকের তলবে সেগুনবাগিচায় কমিশন কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সাংবাদিকরা ওই বিষয়টি নিয়েও তাকে প্রশ্ন করেন।

Advertisement

‘স্যরি’ বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে, সুতরাং উনারাই ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।’

ডিআইজি মিজান আরও বলেন, ‘দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’

আরও পড়ুন >> ডিআইজি মিজানের ‘স্বর্ণকমল’ বাড়ি

ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।

ওই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।

জেইউ/এমএআর/এমএস