‘মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে সরকার বিভিন্ন আইন তৈরি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মত প্রকাশের অধিকার বন্ধ করে দিতে নতুন নতুন ধারা তৈরি করা হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির আয়োজিত ‘মৌলিক অধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করা হয়।
বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. স্বাধীন মালিক বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের নামে অপরাধ সংক্রান্ত ধারাগুলো সবস্তরের মানুষের জন্য ভয়াবহ অবস্থায় রূপলাভ করবে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা ও চেতনা বা অনুভূতিতে আঘাতের নামে এসব আইন তৈরি করা হলেও বাস্তবে তার পরিপন্থী হিসেবে কাজ করবে। নতুন করে শাস্তি বাড়াতে সরকার এসব আইন তৈরি করছে’।
‘এসব আইন সভ্য দেশগুলো থেকে ২০০ বছর আগে উঠে গেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারি করার ক্ষমতা রাষ্টপতিকে দেয়া হলেও নতুন আইনের মাধ্যমে পুলিশকে সেই ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। তারা চাইলেই পুরো দেশকে অচল করে দিতে পারবে’।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে মানুষের বাক স্বাধীনতা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার প্রধানের সম্বন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট্য ডিজিটাল কাউন্সিল তৈরি করে তা নিশ্চিত করা হবে’।
ব্যারিষ্টার সারা হোসেন বলেন, ‘৫৭ ধারা আইনের মাধ্যমে মানুষের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে। যদিও এ আইন পরিবর্তন করতে গণমাধ্যম কর্মীরা নানাভাবে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ আইনের দ্বারা সবস্তরের মানুষের বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ হবে। তাই শুধু সাংবাদিকদের নয়, সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ আইনের সংশোধন করতে হবে’।
নারী পক্ষ সংগঠনের আহ্বায়ক শিরিন হক বলেন, ‘৫৭ ধারা আইনটি মন্ত্রী পরিষদ থেকে বর্তমানে সংসদে বিল আকারে পাঠানো হয়েছে। হাসি ঠাট্টার মাধ্যমে এ আইনটি যাতে পাশ হতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘দেশে বাজেটের অর্থ লুটপাট হচ্ছে। মানুষ যাতে তার প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য ৫৭ ধারা তৈরি করা হচ্ছে’। ২০১৭ সালে এমন ৫৭টি আইনও পাশ করা হয়েছে জানান তিনি।
Advertisement
এছাড়া আলোচনা সভায় বিভিন্ন আদালতের আইনজীবী ও সমাজকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএম/এমএমজেড/এমএস