বল টেম্পারিং কান্ডের মূল হোতা ছিলেন তিনি। অশ্রুবিজরিত কন্ঠে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অনেকটা সময় আড়ালে থেকে অবশেষে লোকসম্মুখে আসলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সহ-অধিনায়ক। জানালেন, মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থন তাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে।
Advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কান্ডের পর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। নেতৃত্ব হারিয়েছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ওয়ার্নারের সঙ্গে যাকে দিয়ে বল টেম্পারিং করানো হয়েছে সেই ক্যামেরুন বেনক্রফটও শাস্তি পেয়েছেন। তারা সবাই এখন নিষেধাজ্ঞায়।
নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও ক্রিকেটটা তো রক্তে ওয়ার্নারের। খেলা কতটা মিস করছেন, সেটি দেখা গেছে তার আচরণে। সিডনিতে রাস্তায় অদৃশ্য ব্যাট দিয়ে আনমনে খেলে যাওয়া এই ওপেনারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালই হয়ে গিয়েছিল।
অপরাধের শাস্তি পেয়েছেন, তবে অনেকেই মনে করছেন ওয়ার্নারদের শাস্তিটা (এক বছর নিষেধাজ্ঞা) বেশিই হয়ে গেছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা তাই যতটা সম্ভব মানসিক সমর্থনটা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের। ৩১ বছর বয়সী ওয়ার্নার এই বিষয়টাকেই বড় পাওয়া মনে করছেন।
Advertisement
এক মাসেরও বেশি সময় পর লোকসম্মুখে এসে এক সাক্ষাতকারে অসি ওপেনার বলেন, ‘এটা আসলে মাথা নোয়ানোর মতো, ভীষণ আনন্দের। কখনো কখনো আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়, ভাবতে হয় এবং বিস্মিত হতে হয় এই ভেবে যে, মানুষ আপনার কতটা কেয়ার করে। মাঝেমধ্যে আমাদের সমাজে এমন কিছু ঘটে যেটা মানুষের জন্য বাজে হয়ে দেখা দেয় এবং সমর্থনের প্রয়োজন হয়। আমার মনে হয়, আমি নিজে এই সমর্থন থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা শিক্ষা পেয়েছি।’
তবে ক্রিকেটের বিরতিতে পরিবারকে সময় দিতে পারাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ওয়ার্নার। স্ত্রী ক্যান্ডিস আর মেয়ে আইভি আর ইন্ডিকে নিয়ে সময়টা খারাপ কাটছে না, জানিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান, ‘আমার মনে হয়, আমাদের বড় একটা ব্যাপার হলো রুটিনের বৃত্তে থাকতে হয়- ক্রিকেট, হোটেল, ব্যাগ গুটানো আর বাড়িতে আসা। তবে বাড়িতে আপনি বেশি সময় থাকতে পারবেন না। দীর্ঘ সময় আপনাকে একটি ভালো রুটিনের মধ্যে কাটাতে হয়। এতে নিজের স্বার্থ দেখার সুযোগ নেই। বাচ্চাদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তাদের কেয়ার, সাঁতার শেনো, জিমনেস্টিক, সন্তানদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানোরও দরকার আছে।’
এমএমআর/এমএস
Advertisement