‘সুজন তোমার খবর কেন এভাবে শুনতে হলো? হঠাৎ তোমার দুর্ঘটনার খবর শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আর হয়তো কোনদিন পাব না তোমাকে। আজ তুমি নেই মনকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা। তোমার অকালে পরপারে চলে যাওয়াটা আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। যেখানেই যাও, যেখানেই থাকো তুমি সুখে থেকো সুজন।’
Advertisement
প্রতিপক্ষের বুলেটে মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর এভাবেই নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন মহালছড়ির স্থানীয় সাংবাদিক মিল্টন চাকমা।
শান্তি বিজয় চাকমা না অপর একজন তার টাইমলাইনে লিখেছেন ‘একসাথে কলেজে যেতাম, এক বাসায় ছিলাম। একসঙ্গে কত আনন্দ ফুর্তি করেছিলাম। সেগুলো কি শুধুই স্মৃতি হিসেবে রেখে গেলে..? বন্ধু হিসেবে কি তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না ..? তুমি কি আর আমাকে ভিডিও কল দেবে না ..? মন মানতে চাইছে না বন্ধু।’
নিহত সুজন চাকমার স্ত্রী-সন্তানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শান্তি বিজয় চাকমা আরও লিখেছেন ‘তুমি চলেই গেলে কিন্তু তোমার আদরের মেয়ে প্রবারণা চাকমা আর তোমার স্ত্রী জ্যোতিশী চাকমার জীবনকে কেন এভাবে রেখে গেলে..? তোমার অবুঝ শিশুটি কাকে বাবা বলে ডাকবে..? এ কেমন চলে যাওয়া তোমার..?’
Advertisement
প্রতিদিনের মতো আর কখনো বাবা স্কুলে পৌঁছে দেবে না, মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে নিয়ে যাবে না এমনকি মন্দিরেও নিয়ে যাবে না ছোট্ট শিশু প্রবারনা চাকমাকে। বাবা এভাবে তার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে তা হয়তো কখনোই ভাবেনি সর্বদা হাসিখুশি ছোট্ট প্রবারনা চাকমা।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাড. শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি-নানিয়ারচর সড়কের বেতছড়ি এলাকায় প্রতিপক্ষের ব্রাশফায়ারে জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) সমর্থিত মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা নিহত হয়।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/এমএস
Advertisement