বিমান বা উড়োজাহাজের ফ্লাইট বিবেচনায় এখন বিশ্বের ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটে পরিণত হয়েছে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর রুট। ওএজি অ্যাভিয়েশনের খাত সংশ্লিষ্ট এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ রুটে দুই এয়ারপোর্টের প্রায় ৩০ হাজার ৫৩৭ টি ফ্লাইল চলাচল করেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৮৪টি ফ্লাইট চলাচল করেছে এ রুটে। এই সময়ে ৪ মিলিয়ন যাত্রী এই রুটে চলাচল করেছে। দুই এয়ারপোর্টের দূরত ২৯৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার। রুটটি এখন এশিয়ার গন্তব্যগুলোর মধ্যে প্রতিনিধিত্বকারী হংকং-তাইপেই রুটকেও ছাড়িয়ে গেছে।
তবে বিমানযাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন হংকং ও তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই এখনও সবচেয়ে ব্যস্ততম। এ রুটে চলাচল করা যাত্রী সংখ্যা হলো ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন। আর দ্বিতীয় ব্যস্ততম রুট হলো সিঙ্গাপুর-জাকার্তা (৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী) এবং বিমানযাত্রীর সংখ্যায় তৃতীয় হলো- সিঙ্গাপুর-কুয়ালালামপুর রুট। এ রুটের যাত্রী সংখ্যা হলো ৪ মিলিয়ন।
সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরে বিমান যাত্রায় সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। ইতোমধ্যে এই দুই দেশের মধ্যে উচ্চগতির রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই রুটে চলাচলকারী বিমানগুলো হলো স্কুট, জেটস্টার, এয়ার এশিয়া ও মালিন্দো এয়ার। এ ছাড়া দুই দেশের প্রতিনিধিত্বকারী বিমান সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ও মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটও এ রুটে চলাচল করে।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এশিয়ার বাইরে (তথা বিশ্বে দ্বিতীয়) ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটটি হলো নিউইয়র্কের লাগার্দিয়া বিমানবন্দর ও কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ রুটে ১৬ হাজার ৯৫৬ টি ফ্লাইট চলাচল করেছে।
আর অভ্যন্তরীণ রুট হিসেবে বিশ্বের ব্যস্ততম ফ্লাইট রুট হলো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ও দেশটির জনপ্রিয় ছুটি কাটানোর দ্বীপ জেজু। ২০১৭ সালে অভ্যন্তরীণ এ রুটে ৬৫ হাজার বিমান চলাচল করে, যা ওএজির মতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৮০ বার যাত্রার সমান।
আরএম/জেডএ/পিআর
Advertisement