দেশজুড়ে

পূরণ না করেই এইচএসসি পরীক্ষা দিলেন চার শিক্ষার্থী

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের উন্মুুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স থেকে এবার এইচএসসির ফরম পূরণ না করেই পরীক্ষা দিলেন চার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হলেন, শারমিন আক্তার ,আবুল কাশেম, শামসুল আরেফিন ও আল-মামুন। শুক্রবার শেষ পরীক্ষার দিন বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজজুড়ে শুরু হয় আলোচনার ঝড়।

Advertisement

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে তারা ফরম পূরণ করতে না পারার বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাকে টাকা দিলে তিনি পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেন। আমরা ভেবেছি টাকা যখন দিয়েছি তখন নিশ্চয় ফরম পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু উপস্থিতির তালিকায় দেখি নাম নেই। স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তোমাদের স্বাক্ষর পরে নেয়া হবে।

শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, আমি শওকত স্যারের কাছে ফরম পূরণের জন্য চার হাজার এবং প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য ৫শ টাকা দিয়েছি। স্যার আমাদের ফরম পূরণ করে দিবেন এবং পরীক্ষার পরে আরও টাকা দিতে হবে বলেছেন। আমার ফরম পূরণ স্যার করেননি তা আমাকে বলেননি। তিনি আমাকে পরীক্ষা দিতে বলেন। আমি পরীক্ষা দেয়ার সময় উপস্থিত সিটে স্বাক্ষর করতে গেলে স্যার বলে তোমাদের স্বাক্ষর আমরা পরে নেব। আমি সেই বাগেরহাট থেকে এসে পরীক্ষা দিয়েছি অনেক কষ্ট করে। স্যার কেন এমনটা করলেন আমি জানি না।

শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মালেক বলেন, কি হয়েছে আমি বিষয়টি জানি না। তবে যদি ফরম পূরণ না হয় তাহলে পরীক্ষা দেন কীভাবে। এমন কোনো নিয়ম আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি এই কোর্সের দায়িত্বে নেই। এই কোর্সের সম্মনয়কারী হলেন শওকত সাহেব। এটা একটা নিয়ম বর্হিভূত কাজ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Advertisement

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে এই প্রতিষ্ঠানে এমন কোনো কাজ আমরা কেউই করবো না যাতে এই কলেজের নাম ক্ষুণ্ন হয়। আর যদি এই ধরনের কোর্স চালাতে না পারি তাহলে রাখা ঠিক হবে না।

এ বিষয় জানতে চাইলে কোর্স সম্মনয়কারী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. শওকত হোসেন বলেন, আমি টাকা নিয়েছি মানবিক কারণে। আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করা হয়নি। আগামীতে তাদের ফরম পূরণ করে দেয়া হবে।

ফরম পূরণ না করে পরীক্ষা নেয়া হলো কীভাবে, জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। এরপর যখন শারমিন নামের ওই শিক্ষার্থী সামনে আসেন তখন কোনো কথা বলেননি তিনি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাকিব হাসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Advertisement

হুমায়ুন কবীর/এমএএস/পিআর