বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন সরকারি গুদামে মোট চাল ও গমের মজুদ ১১ লাখ ৫০ হাজার টন। গত বছর এই সময়ে মজুদ ছিল ৫ লাখ ১৩ লাখ টন।
Advertisement
সরকারি মজুদ সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে গত বছর চালের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকারের নানান উদ্যোগ ও মজুদ বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাস ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বর্তমান সাড়ে ১১ লাখ টন মজুদের মধ্যে চাল ৮ লাখ ২১ লাখ টন এবং গম ৩ লাখ ২৯ লাখ টন। এছাড়া বন্দরে ভাসমান অবস্থায় প্রায় ৫০ হাজার টন চাল ও গম রয়েছে।
গত বছর এই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৩ টন। এর মধ্যে চাল ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ৮ টন ও গম ছিল এক লাখ ৯৩ হাজার ১৫ টন।
Advertisement
খাদ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছর মূলত অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বোরো সংগ্রহের ব্যর্থতার কারণে সরকারি মজুদ তলানিতে গিয়ে দাঁড়ায়। তাই এবার আমন সংগ্রহের সময় সতর্ক ছিল সরকার। আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ হয়েছে।
গত ৭ মার্চ আমন সংগ্রহ কার্যক্রম শেষ হয়। এই সময়ে ৬ লাখ ১ হাজার ৯৮৪ টন আমন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া গত ৮ এপ্রিল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় বোরোতে ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান (দেড় লাখ টন ধানে ১ লাখ টন চাল পাওয়া যাবে) সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৩৮ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২৬ টাকায় এই ধান কেনা হবে।
গত ২ মে থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হয়েছে, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে বলে খাদ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে।
Advertisement
সরকারি বাণিজ্য সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে মোটা চালের কেজি ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা।
আরএমএম/এমআরএম/পিআর