রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় চারটি আফ্রিকান সিংহ এসেছে। গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ শুভেচ্ছা প্রাণি বিনিময়ের অংশ হিসেবে দুটি পুরুষ ও দুটি নারী সিংহ জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। বিনিময়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষকে দুটি জলহস্তি উপহার দিয়েছে। সাফারি পার্ক থেকে বুধবার চিড়িয়াখানায় চারটি সিংহ নিয়ে আসা হয়।
Advertisement
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একই প্রজাতির সিংহের মধ্যে আন্তঃপ্রজনন হলে সেক্ষেত্রে প্রসবকৃত সিংহের গুণগত মান অর্থাৎ সিংহের শক্তি ও তেজস্বীভাব বহুলাংশে হ্রাস পায়। অনেক সময় প্রতিবন্ধি সিংহ শাবক জন্ম নেয়ারও ঝুঁকি তৈরি হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বেশ কিছু একই প্রজাতির সিংহ রয়েছে। তাই সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চারটি সিংহ উপহার দেয়। বুধবার চারটি সিংহকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে খাঁচায় বন্দি করে মিরপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুই দফায় সাফারি পার্কের জন্য দুটি জলহস্তি দিয়েছে।
প্রাণি বিশেষজ্ঞদের মতে যে সব সিংহ বনে থাকে সেগুলোর গড় আয়ু ১৫ বছর। তবে চিড়িয়াখানায় বন্দি অবস্থায় সিংহ ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মিরপুর চিড়িয়াখানায় তিনটি ভারতীয় ও দুটি আফ্রিকান সিংহ রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি সিংহের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। ফলে সংখ্যায় ৫টি থাকলেও দুটি ছাড়া বাকি তিনটির মধ্যে সিংহসুলভ আচরণ ছিল না। নতুন পাঁচটি যুক্ত হওয়ায় এখন মোট সিংহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টি।
Advertisement
চিড়িয়াখানার কিউরেটর এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, চিড়িয়াখানায় আসা দর্শকরা এখন থেকে সিংহের খাঁচা দেখে আনন্দ পাবেন।
এমইউ/এমএমজেড/এমএস