বাংলাদেশে বহু তরুণের মধ্যে যেরকম ফেন্সিডিল আসক্তি রয়েছে, ওই একই নেশা ছড়িয়ে পড়েছে নাইজেরিয়াতেও।
Advertisement
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,নাইজেরিয়ায় কোডিন নামে একরকম আফিমজাতীয় উপাদান-মেশানো কফ সিরাপ দিয়ে নেশা করাটা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে- এমন খবর বের হওয়ার পর চারটি ওষুধ কোম্পনিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে ওই কফ সিরাপ উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নাইজেরিয়া।
তবে বিবিসি তদন্তে পেয়েছে, দেশটির তরুণরা ওই সিরাপ কালোবাজার থেকে কিনছে এবং নেশা করার জন্য তা ব্যবহার করছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এই কোডিন কফ সিরাপের কারণে একটি নেশাসক্ত প্রজন্ম তৈরি হয়েছে নাইজেরিয়ায়।
Advertisement
কোডিন মেশানো কফ-সিরাপকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা নতুন নয়। ভারত ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এ সমস্যা রয়েছে।
কোডিন কফ সিরাপের একাধিক ব্র্যান্ড মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে- এমন খবর বের হওয়ার পর ২০১৬ সাল তা নিষিদ্ধ করে ভারত। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত চোরাচালান হওয়া ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
কোডিন কী?কোডিন এক ধরনের আফিমজাত ব্যথানাশক, কিন্তু এটা মানবদেহে নেশা তৈরি করে। বেশিমাত্রায় সেবন করলে এটা মানুষের স্কিৎসোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ার মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
কোডিন থেকে শুরু করে মরফিন এবং নিষিদ্ধ হেরোইন পর্যন্ত বিভিন্ন রকম ড্রাগ এই ওপিঅয়েড গোত্রের মধ্যে পড়ে। এই কোডিন সিরাপের নেশা এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নাইজেরিয়া ছাড়াও কেনিয়া, ঘানা, নাইজার এবং চাদে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
Advertisement
এনএফ/এমএস