খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানকে মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপি হঠাৎ নির্বাচনের কথা সামনে তুলে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক তথ্য দর্পনের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহু দুর্নীতি, মানুষ পোড়ানো এবং হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে কিছু মামলা নিষ্পত্তির পথে ও কিছু মামলা হতে যাচ্ছে। বেগম জিয়া সরাসরি মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এসব মামলা থেকে বাঁচার জন্য হঠাৎ করে নির্বাচনের বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে।’তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এখন নয়। এখন অপরাধীদের শাস্তি, জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দমন এবং তাদের খুঁটি উচ্ছেদের সময়।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহু দুর্নীতি, মানুষ পোড়ানো এবং হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে কিছু মামলা নিষ্পত্তির পথে ও কিছু মামলা হতে যাচ্ছে। বেগম জিয়া সরাসরি মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এসব মামলা থেকে বাঁচার জন্য হঠাৎ করে নির্বাচনের বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে বিএনপি নেতারা ও খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসার জন্য নির্বাচনের কথা বলেননি। শুধু নির্বাচন বানচাল করতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিবার্চনের কথা বলা বিএনপির একটি নতুন চাল। বিএনপি আবারো সেটা প্রমাণ করেছে।তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অপরাধীদের বাঁচানোর দরকষাকষির কৌশল হতে পারে না। নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। আর সে সময়েই কেবল নির্বাচনের আলাপ হবে।’মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় আদালতকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেল, অপরাধী যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন কেউই আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোনো অপরাধীই পার পাবে না।’এ সময় তথ্য দর্পনের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি ও চিতলমারী ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্যা মো. আবু কাওছার, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ)’র সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য দর্পনের প্রকাশক শফিউল হক মিঠু ও পিরোজপুর কথার সম্পাদক শহিদুল হক টিটো।এসকেডি/আরআইপি
Advertisement