দেশজুড়ে

যানজটে অতিষ্ঠ গাইবান্ধা শহরবাসী

গাইবান্ধা শহরে বাইপাস সড়ক না থাকায় যানজটে বিপন্ন জনগণকে পথ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ২৭ বছরেও অনুমোদন পায়নি। কবে নাগাদ হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। গাইবান্ধা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালে বাইপাস সড়কের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন ও নকশা তৈরি করা হয়। শহরের সুংসুংগির মোড় এলাকার আনসার ক্লাব থেকে প্রফেসর কলোনি সংলগ্ন তিনগাছতল হয়ে পূর্বপাড়ার বালাসি সড়ক পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়। সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কি.মি ও প্রস্থ ৯ দশমিক ৭৬ মিটার। জমি অধিগ্রহণসহ এ সড়কে একটি সেতু ও চারটি কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তাবও দেয়া হয়। এজন্য জমি অধিগ্রহণসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকা। বাইপাস সড়কটি নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল মোট ১২ কোটি টাকা। প্রকল্প প্রণয়নের পর তা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও অনুমোদন মেলেনি। সেসময় শহরের বুকচিরে নির্মিত পলাশবাড়ি-গাইবান্ধা-বালাসিঘাট সড়কটি ফিডার রোড হিসেবে চিহ্নিত ছিল। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী ফিডার রোডে বাইপাস সড়ক হয় না। তাই মন্ত্রণালয় বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ২০০৫ সালে এ সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপরেও বাইপাস সড়ক বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে শহরে প্রয়োজনীয় অটোবাইক, সিএনজি, ম্যাজিক, ট্রাক, টেম্পু ও রিকশা স্ট্যান্ড নেই। ফলে জেলা শহরের সংকীর্ণ রাস্তায় যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে যানজটকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া শহরের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করার ফলে যানজট এখন চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে পোস্ট অফিস ও পুরাতন জেলখানা সংলগ্ন সড়ক, পুরাতন বাজার-বালাসি সড়ক, বড় মসজিদ থেকে কালিবাড়ি ভিএইড সড়ক, জেলখানার মোড় থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত পলাশবাড়ি সড়কটিতে সীমাহীন যানজটে স্থবির হয়ে থাকে। ফলে যানবাহন ও পথচারি চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে টনক নড়ছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু হবে।অমিত দাশ/এমজেড/আরআইপি

Advertisement