জাতীয়

হাওরের এক নদীর পানি বিপদসীমার উপর, ৩টি সতর্কসীমায়

ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে হবিগঞ্জের সুতং নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আরও তিনটি নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছেছে।

Advertisement

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন ও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, হবিগঞ্জের সুতং রেলওয়ে ব্রিজ স্টেশনে সুতং নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি ৬০ সেন্টিমিটার, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে কালনী নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার এবং নেত্রকোনার জারিয়াজঞ্জাইল এলাকায় কংস নদীর পানি ৯২ সেন্টিমিটার বেড়ে সতর্কসীমায় রয়েছে।

Advertisement

হাওর অঞ্চলের বেশিরভাগ নদ-নদীরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্জলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। কিন্তু কোথাও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা নেই। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। হবিগঞ্জের কিছু স্থানে বিরাজমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা অবনতি ঘটতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগামী দু’দিন বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। এ সময়ে নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল থাকবে।’

তবে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী রোববার থেকে মঙ্গলবার (৬-৮ মে) পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ- এ চারটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সিলেট একটু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ সেখানে নদীগুলোর পানি দ্রুত বেড়ে যাবে। বিপদসীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি করতে পারে।

Advertisement

‘এটা হবে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা। ওই তিন দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের পর পরিস্থিতি আবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বড় ধরনের বন্যার সম্ভাবনা দেখছি না। যেটা হবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য।’

হাওরের বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান বলেন, এখন ফ্লাস ফ্লাড আসলেও হাওরে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গত বছরের মার্চের শেষের দিকে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেটের বিস্তৃর্ণ হাওর অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বোরো ফসল। হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠে। মাছ খেয়ে মারা যায় হাঁসও।

আরএমএম/এএইচ/পিআর