নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিমপেরিয়ামের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বিশ্বব্যাপী ৯৫ কোটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস টেক্সটিং হ্যাকিং ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর এপি ও টেকটু।প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুল ব্যবহূত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুধু একটি কোড প্রবেশ করানো প্রয়োজন। আর এ কাজ ডিভাইসের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমেই সম্পাদন করা সম্ভব সাইবার অপরাধীদের পক্ষে। সোমবার প্রকাশিত নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে জিমপেরিয়াম জানায়, এজন্য শুধু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীর সেলফোন নম্বর পেলেই যথেষ্ট। গ্রাহকের নম্বর পেলে বিশেষ ধূর্ততার সঙ্গে নির্মিত মিডিয়া ফাইলের সঙ্গে মাল্টিমিডিয়া মেসেজ হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে একটি কোড পাঠানোর মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম সাইবার অপরাধীরা।প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, হ্যাকিং কোডসহ পাঠানো ওই মেসেজ ব্যবহারকারী পড়ার আগেই মুছে যায়। ফলে অনেকে বুঝতেই পারে না যে, আদতে কী হচ্ছে হাতের ডিভাইসটিতে। তবে মেসেজ না থাকলেও ডিভাইস স্ক্রিনে একটি নটিফিকেশন প্রদর্শন করবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েডের পুরনো সংস্করণ যেমন— জেলিবিন, জিঞ্চারব্রেড এবং আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইস বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে মোট ১১ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এখনো এ সংস্করণগুলো ব্যবহার হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েডের আপডেট সংস্করণগুলোও এ ধরনের সাইবার হামলা রুখতে খুব বেশি নিরাপদ নয় বলে জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে জিমপেরিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জুক আব্রাহাম বলেন, গত এপ্রিলে অ্যান্ড্রয়েডের এ নিরাপত্তা ত্রুটি সারাইয়ে গুগলের কাছে একটি প্যাচ জমা দেয়া হয়েছে। এ নিরাপত্তা ত্রুটির সুযোগে সাইবার অপরাধীরা একটি ডিভাইসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।এছাড়া তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা চালিয়ে দূর থেকেই একটি সেলফোনের মাইক্রোফোন চালু এবং অডিও রেকর্ডিং করা সম্ভব। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ নেয়া ফোনের মাধ্যমে ছবি ডাউনলোড করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীর ই-মেইল ও ফেসবুক মেসেজ দেখা সম্ভব। এমনকি ফোন কলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব।সাম্প্রতিক এ বিষয় নিয়ে গুগলের আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানান, নতুন থেকে শুরু করে অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিয়েই নির্মাণ করা হয়। অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা জোরদারে গুগল সবসময় সচেষ্ট।এসকেডি/পিআর
Advertisement