খেলাধুলা

বিফলে গেল আইপিএলের মধ্যবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডো

আইপিএলের আকর্ষণ বাড়াতে চলতি মৌসুমে ফুটবল লিগগুলোর মতো করেই মধ্যবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডোর ব্যবস্থা করেছিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু এই ট্রান্সফার উইন্ডোর নিয়মকানুনের জটিলতার কারণে কোনো দলই অংশ নেয়নি খেলোয়াড় অদল-বদলে। বিফলে যায় আইপিএল কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনা।

Advertisement

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ঠিক করা হয়েছিল আসরের প্রথম অর্ধেক অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ থাকবে মধ্যবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডোর জন্যে। যা কার্যকর থাকবে ২৮তম ম্যাচ থেকে শুরু করে ৪২তম ম্যাচ পর্যন্ত; কিন্তু ট্রান্সফার উইন্ডোর এক সপ্তাহ পেরুনোর আগেই হাত গুটিয়ে নিয়েছে সবগুলো দল। কেননা নিয়মের মারপ্যাঁচে নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড়দের যে নিতে পারবে না তারা!

খেলোয়াড়দের দল-বদলের নিয়মে বলা হয়, নিজ দলের হয়ে দুই বা তার কম ম্যাচ খেলেছেন এমন অনভিষিক্ত খেলোয়াড়দের চাইলে নিজেদের মধ্যে অদল-বদল করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। শুরুতে বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলা হলেও, পরে তা পরিবর্তন করে রাখা হয় শুধুমাত্র অনভিষিক্ত খেলোয়াড়দের জন্য। মূলতঃ ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দিতেই এমন নিয়মের দ্বারস্থ হয় আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু সাফল্যের খোঁজে আইপিএলে দল কেনা ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সবার আগে শুধু সাফল্যকেই প্রাধান্য দেয়। তাই অনভিষিক্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে নিজের দল ভারী করতে রাজি নন তারা। কেননা এরই মধ্যে প্রায় সব দলেই চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা ২৫ বা তার অধিক।

Advertisement

ট্রান্সফার উইন্ডোর প্রতি আগ্রহ না থাকার কারণ হিসেবে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বলেন, ‘উদ্যোগটা প্রশংসনীয় ছিল। তবে নিয়মগুলোয় অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রায় সব দলেই ২৫ বা তারও বেশি খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ আছে। এরমধ্যে আবার অনভিষিক্ত কাউকে নেয়ার কি দরকার। যদি বড় তারকাদের নাম থাকতো এই উইন্ডোতে, তাহলে হয়তো আমরা আগ্রহী হতাম।’

প্রায় সব দলই একই মনোভাব রাখলেও এখনো প্রায় দেড় সপ্তাহ বাকি ট্রান্সফার উইন্ডোর। এই সময়ে দলগুলো নিজেদের মধ্যে খেলোয়াড় অদল-বদল করতেও পারে। তবে যে বৃহৎ স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষ তা যে সফল হচ্ছে না তা বলাই যায়!

এসএএস/আইএইচএস/এমএস

Advertisement