বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গুম-হত্যা, হুমকি, ক্রসফায়ার, গ্রেফতার, ব্যবসা বন্ধ করে এতদিন বিএনপিকে দমন করা হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে সেটুকু শেষ করতে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দুদককে নতুন প্লেয়ার হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাশনালিস্ট সার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত প্রতিবাদ সভয় আরও উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, এনআরএফের সভাপতি ড. এ কে এম মুহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম প্রমুখ।
তিনি বলেন, আমরা আগে জানতাম মানুষ আইনর আশ্রয় নেয়। কিন্তু যেখানে আইনের শাসনই নেই সেখান প্রতিকার চাওয়া মোটেই সাজে না। বর্তামনে দেশে আইনের শাসন নেই। এখন বিচারের রায় হয় না, রায় হয় রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসার।
Advertisement
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার নির্বাচনের কথা বললেও বর্তমানে তারা নির্বচনের আইনগুলো তাদের সুবিধামতো পরিবর্তন করেছে। নির্বাচন পরিচালনা করে যেসব সংস্থা সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বচন নিরপেক্ষ করতে তিনটি জিনিস দরকার। এগুলো হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার, সংসদ বিলুপ্ত করা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করা। এ তিনটার কোনটাই বর্তমানে নেই।
বিএনপির নির্বাচনের যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন নির্বাচন হলে কী হবে এটা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী জানে। নির্বাচনটা ক্যামনে হবে আমি তো দেখতে পারছি না। দেশে তো গণতন্ত্র, নাগরিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নেই। ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজত্বে বাস করছি। এসব থেকে রক্ষা পেতে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, এটা কি শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন? কনসেশন ক্যাম্প হিসেবে কাজ করেছে। মধ্যরাতে হল থেকে ছাত্রদের বের করে দেয়া, রগকাটা, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কথার বাইরে যাওয়া যাবে না- এসব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এই আন্দোলন।
Advertisement
এমইউএইচ/এমবিআর/এমএস