উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ কথা বলা হয়েছে।কলাপাড়া আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার জাগো নিউজকে জানান, নিম্নচাপটি বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে।গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে জানিয়ে প্রদীপ কুমার জানান, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।প্রদীপ কুমার আরো জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, আমরা ইতোমধ্যেই সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে তীরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের নির্দেশ পেয়ে অনেক ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনো কিছু ট্রলার সাগরে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেসব ট্রলারও নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছে।এমজেড/আরআইপি
Advertisement