জাতীয়

মার্চ-এপ্রিলে বজ্রপাতে নিহত ৭০ : ত্রাণমন্ত্রী

চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৭০ জন মানুষ বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

Advertisement

মঙ্গলবার সচিবালয়ে চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল দু’দিনে ২৯ জন লোক বজ্রপাতে মারা গেছেন। গত মার্চ মাসে ১২ জন এবং এপ্রিল মাসে ৫৮ জনসহ মোট ৭০ জন লোক বজ্রপাতে মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য পরিস্থিতি সরকার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বর্ষা মৌসুম সামনে। এ সময়ে ঝড়-তুফান হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে সবাইকে পরিস্থিতি দেখে শুনে ঘর থেকে বের হতে হবে।’

Advertisement

আরও পড়ুন : সারাদেশে বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ঢাকায় ১৪৬ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১১২ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১০৭ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৭১ মিলিমিটার, রাঙ্গামাটিতে ১১০ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই প্রবণতা স্বাভাবিক নয়। এ থেকে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।’

প্রতিদিন ১০৯০ নম্বরে কল করে আবহাওয়া পরিস্থিতি জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে জানিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা এবং আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৩০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দেয়া হয়।’

Advertisement

বজ্রপাত মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ৩১ লাখ ৬৪ হাজার তালের বীজ রোপণ করা হয়েছে বলেও জানান মায়া।

আরও পড়ুন : বজ্রপাতে উদ্বেগজনক মৃত্যু

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রত্যেক জেলায় ত্রাণ সমগ্রী যেমন- জিআর চাল, নগদ অর্থ, ঢেউটিন, ঘর নির্মাণের অর্থ, বজ্রপাতে কেউ হতাহত হলে তাদের সহায়তার অর্থ অগ্রিম বরাদ্দ দেয়া আছে, যাতে কোনো দুর্যোগ হলে ডিসিদের ঢাকার দিতে তাকিয়ে থাকতে না হয়।’

বজ্রপাতের তথ্য রেকর্ড করার জন্য আবহাওয়া অধিদফতর দেশের আট জেলায় যন্ত্র স্থাপন করেছে জানিয়ে অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, পঞ্চগড় (তেঁতুলিয়া), নওগাঁ (বদলগাছী), খুলনা (কয়রা), পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে এই বজ্রপাত শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। আরও যন্ত্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।’

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামালসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এনএফ/আরআইপি