সুরা কাসাসের ২৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা শ্রমিক সম্পর্কে মালিকদেরকে যে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন তা এমন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার মজুর (শ্রমিক) হিসেবে উত্তম হবে সেই ব্যক্তি, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।’ মালিকের জন্য প্রথম দায়িত্ব হলো আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিক নির্বাচন করা।
Advertisement
দ্বিতীয়ত মালিকের জন্য শ্রমিক নিয়োগে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করা উচিত, তাহলো- শ্রমিককে কাজে নিয়োগ দেয়ার আগে অবশ্যই মালিককে শ্রমিকের সময় (কর্ম ঘণ্টা) ও মজুরি (বিনিময় পারিশ্রমিক) নির্ধারণ করা।
উল্লেখিত বিষয়ের সঙ্গে যখনেই ব্যতিক্রম ঘটে তখন মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক ও দায়িত্বে দ্বন্দ্ব এবং অসন্তোষ পরিলক্ষিত। ফলে মালিকের যেমন কাজে বিঘ্ন ঘটে ও ক্ষতি হয়; তেমনি শ্রমিকও তার ন্যায্য পাওনা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
এ কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে শ্রমিক নিয়োগে ঘোষণা করেছেন- ‘নিশ্চয় শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিয়োগ করিও না।’ (মুসলিম)
Advertisement
কুরআন ও হাদিসের বিধান যথাযথ বাস্তবায়ন করে প্রথম ও দ্বিতীয় কাজগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে শ্রমিককে কাজে নিয়োগ দেয়ার পর মালিকের তৃতীয় দায়িত্ব হলো-শ্রমিকের কাছ থেকে অর্পিত দায়িত্ব ও কাজ বুঝে নেয়া। পাশাপাশি তাঁকে তার নির্ধারিত মজুরি বা পারিশ্রমিক প্রদান করা।মালিক কাজ বুঝে পাওয়ার পর শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দিতে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রিয়নবি বলেছেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ (ইবনে মাজাহ)
পরিশেষে...মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে তখনই সুসর্ম্পক প্রকাশ পাবে, যখন শ্রমিক যথাযথভাবে মালিকের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা মালিকের কাছে হস্তান্তর করবে। আবার মালিকও শ্রমিকের কাছ থেকে কাজ বুঝে পেয়ে তার নির্ধারিত পাওনা তথা পারিশ্রমিক যথাযথ বুঝিয়ে দেবে আর তখনই তাদের মাঝে দেখা দেবে শান্তি।
আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সব মালিক ও শ্রমিককে প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত যথাযথ দায়িত্ব পালন করে শান্তি ও নিরাপদ সমাজ বিনির্মাণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি
Advertisement