প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও স্বপদে বহালের দাবিতে ছাত্র ধর্মঘট চলছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে চলা এ ছাত্র ধর্মঘটে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন।
Advertisement
গতকাল (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে নাসির উদ্দিন আহমদকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। তারবিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশনা জালিয়াতি করেছেন। তবে নাসির উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, যে গবেষণা নিবন্ধের কথা বলা হচ্ছে, তা তার নিজের নয় এবং নিবন্ধটি কোথাও প্রকাশিতও হয়নি।
ছাত্র ধর্মঘটে অবস্থান নেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী দিগ্বিজয় বলেন, কিছুদিন আগে বাংলা বিভাগের একজন নারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কিন্তু নাসির স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে।
Advertisement
অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘স্ট্যান্ড ফর নাসির স্যার’ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপও খোলেন। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই গতকাল রোববার মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া ‘কোটা সংস্কার চাই’ ও ‘সকল বৈষম্যের অবসান চাই’ নামের আরও দুটি গ্রুপেও তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নাসির উদ্দিন আহমদ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বলেও বলা হচ্ছে।
আরএস/পিআর