টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মায়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে। এ ঘটনায় ছেলে মো. কাউছার মীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
Advertisement
শনিবার বিকেলে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ধানকী পাইকপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ছেলে কাউছারকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. ফজলু মীর বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। শনিবার রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকা থেকে কাউছারকে গ্রেফতারের পর রোববার টাঙ্গাইলের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে মায়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কুপিয়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে কাউছার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহাবুবা নওরীন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
Advertisement
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাংসারিক বিষয় নিয়ে কাউছারের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফজলু মীর তার স্ত্রী রিনা বেগমকে (৪৫) বাড়িতে রেখে পাট খেতে কাজ করতে যান।
এরপর ছেলে কাউছার মায়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে দুপুরের খাবার খেতে তিনি বাড়িতে যান। দরজার সামনে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে রক্ত বাইরে আসছে। তখন তার চিৎকারে ছোট ছেলে রাব্বি মীরসহ (১৫) আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।
এ সময় দরজা খোলে ভেতর ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানো অবস্থায় রিনার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মুঠোফোনের সূত্র ধরে শনিবার রাতে পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকা থেকে কাউছারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাউছার মীরকে রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহাবুবু নওরীনের আদালতে মায়ের পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
Advertisement
মির্জাপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল কুমার দত্ত জানান, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শনিবার রাতে কাউছারকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কাউছার। জবানবন্দিতে পরকীয়ার কারণে মাকে হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করে সে। পরে তাকে আদালত থেকে টাঙ্গাইলের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এস এম এরশাদ/এএম/আরআইপি