জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির আদেশ বাতিল করে স্বপদে বহাল রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নতুবা কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে জবির ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী দিগ্বিজয় রায় বলেন, যে আইনে তার বিচার করা হয়েছে এটা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। আর নাসির স্যার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন না। তাই সে আইনে তার বিচার করাও যাবে না।
শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে এ যুগের শামসুজ্জোহা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাসির স্যার ছাত্রদের প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলনে সবার সামনে থেকে আমাদের উৎসাহিত করেছেন। হল অন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমরা সবসময় তাকে মাঠে পেয়েছি। এজন্য তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই এ বিচার করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও বাংলা বিভাগের এক নারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ আসে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে নাসির স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে ‘লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়েছে’ বলে মনে করি। তবে আমরা এটা বলছি না যে তিনি এসবের সঙ্গে জড়িত। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মানববন্ধনের আহ্বায়ক জবির ইংরেজি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শিপন আহমেদ বলেন, নাসির স্যারকে অপসারণ করার বিষয়টি প্রশাসনের ষড়যন্ত্র। তাকে অপসারণের মূল কারণ ছাত্রদের মাঝে জনপ্রিয়তা এবং ছাত্রদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিটি আন্দোলনে সমর্থন দেয়া। তাকে যে প্রকাশনার কারণ চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। এছাড়া যে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা করা হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। উনাকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও পর্যাপ্ত সুযোগও দেয়া হয়নি।
তিনি দাবি করে বলেন, জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে স্যারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপবাদ প্রত্যাহার করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সোমবার জবির সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। পাশাপাশি তারা বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্য বরাবর স্মরকলিপি জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
Advertisement
এমএইচএম/বিএ/পিআর