নিখোঁজ হওয়ার আড়াই মাসেও মির্জাপুরের গৃহবধূ সুমিকে উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে আড়াই বছরের শিশুপুত্র নীড়কে নিয়ে সুমি তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। সুমি ও সন্তানকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সুমির ভাই ও মা মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সুমি মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। এ ব্যাপারে শরিফুল ইসলাম মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্র জানান, ৫ বছর আগে উপজেলার কুইচতারা গ্রামের শুকুর মাহমুদের মেয়ে সুমির সঙ্গে একই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।সুমির ভাই স্বপন মাহমুদ ও মা বেদানা বেগম জানান, গত ২২ মে ভোরে সুমি স্বামীর বাড়ি থেকে শিশু ছেলেসহ নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর সুমির বড় ভাই স্বপন মাহমুদ ও ছোট ভাই দশম শ্রেণির ছাত্র সজিব মাহমুদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।সুমির স্বামী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক ও মো. রফিক জাগো নিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে ঘটনার সবকিছু মনে নেই। নিখোঁজ সুমির বড় ভাই স্বপন মাহমুদ ও ছোট ভাই সজিব মাহমুদকে কোনো অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তা জানতে চাইলে ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।সংবাদ সম্মেলনে সুমির মা তার মেয়েকে উদ্ধারের ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।এমজেড/পিআর
Advertisement