জাতীয়

মরে বেঁচেছেন রোজিনা!

‘বনানীতে বিআরটিসির বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে পা হারানো রোজিনা মরে বেঁচে গেছেন!’ অনেকেই এ বাক্যটি পড়ে সমালোচনা মুখর হয়ে বলবেন, ‘মরে গিয়ে আবার কীভাবে বেঁচে যায়?’ কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এমনটা বলাটাই সঠিক।

Advertisement

টানা ৮ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করেছেন গৃহপরিচারিকা রোজিনা। সরকারি পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও আইসিইউয়ের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা চালালেও সবার সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে রোববার সকালে ঢামেকের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেনের কাছে রোজিনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘পা হারানো রোজিনা একিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রিম (এআরডিক্স) বা ফুসফুসের প্রদাহজনিত গুরুতর সংক্রমণে আক্রান্ত হন। ক্র্যাশ ইনজুরির (পায়ের হাড় থেতলে বা চুরমার হয়ে যাওয়া) ফলে প্রথমে তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়। পরবর্তীতে তা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধকল সইতে পারেনি মেয়েটি’।

তিনি বলেন, ‘এর আগে ক্র্যাশ ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের মৃত্যু হয়। দুই বাসের চাপায় হাত ফেলে দেয়া হলেও এটা তার মৃত্যুর কারণ ছিল না। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় ক্র্যাশ ইনজুরির ফলে রাজিবের মৃত্যু হয়।’

Advertisement

উল্লেখ্য, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায় কাজ করতেন রোজিনা। গত ২০ এপ্রিল (শুক্রবার) আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে বাসায় ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৫৭৩৩) তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় রোজিনা রাস্তায় পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে তার পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এমইউ/এমএমজেড/এমএস