ট্রাভেল এজেন্সির মালিক তিনি। কিন্তু এর আড়ালে মূল ব্যবসা স্বর্ণের চোরাচালান। ছয়টি ট্র্যাভেল এজেন্সির লাইসেন্স নিয়ে কাজী মাহবুবুর রহমান প্রতি মাসে স্বর্ণের চালান আনতেন তিনটি। প্রতি কেজি স্বর্ণে মাহবুবুর রহমান কমিশন পান এক লাখ টাকা।
Advertisement
গত ছয় বছরে এভাবেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের গড়েছেন তিনি। স্বর্ণ চোরাচালানের তিন কোটি টাকা দিয়ে উত্তরা-৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট কেনেন মাহবুবুর।
শনিবার র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান মাহবুবুর।
ভোরে কাজী মাহবুবুর রহমান ও মীর জাকির হোসেনকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় চোরাচালানের ১শ’ গ্রাম ওজনের ১৩৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
Advertisement
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, আটক দু'জন আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের দুই সদস্য। মূলত মাহবুবুর চোরাচালানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অপরজন মূলত স্বর্ণ চোরাচালানে বাহকের কাজ করেন।
রাজধানীর উত্তরা-৬ সেক্টরের, ১১ নং সড়কের ১২ নং মাহবুবুরের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সারওয়ার বিন কাশেম।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন মাহবুবুর। স্বর্ণের ব্যাগটি তিনি উড়োজাহাজে ফেলে আসেন। পরে সন্ধ্যার দিকে গিয়ে গেট থেকে স্বর্ণসহ ব্যাগটি নিয়ে আসেন। র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ব্যাগ নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছেন।
শনিবার ভোর ৪টার দিকে র্যাব সদস্যরা বাড়িতে ঢুকে মাহবুবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি স্বর্ণ চোরাচালানের কথা স্বীকার করেন।
Advertisement
র্যাব সিও বলেন, মাহবুবুর দুবাইয়ের স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে স্বর্ণের চালান আনার পর তার দায়িত্ব ছিল খুচরা বাজারে বিক্রি করা। জাকিরের দায়িত্ব ছিল দোকানে দোকানে স্বর্ণ পৌঁছে দেয়া।
র্যাবের সিও সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, কিভাবে বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণ বাইরে আসছে, কারা সহযোগিতা করছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মাহবুবুরের বাড়ির দারোয়ান ইউনুস সাহাবুল্লাহ জানান, তিন মাস ধরে মাহবুবুরের স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে আমেরিকায় আছেন।
জেইউ/জেএইচ