রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যসহ ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার অবস্থান করছে। দলটি শনিবার বিকেলে কুয়েত থেকে সরাসরি বিমান যোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
Advertisement
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছার পরপরই উখিয়ার ইনানীস্থ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপে যান। সেখানে রাতের যে কোনো সময় ‘রোহিঙ্গা সংকট ও পরিস্থিতি’ নিয়ে প্রতিনিধি দলের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, দলটি রোববার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরিদর্শন শেষে উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পেই সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন তারা। রোহিঙ্গা সংকটের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি প্রথমবারে মতো পরিদর্শনে এসেছেন। পরিদর্শন শেষে দলটি রোববারই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের। গত কয়েক মাসে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার পরিদর্শনে তেমন কোনো ফল না আসায় তাদের এই মনোভাব বলে জানিয়েছেন শরণার্থী শিবিরের নেতারা।
Advertisement
তবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের অনাগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে এ সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বাংলাদেশ সরকার। এ সফরকে অর্থবহ করতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম।
রোববার নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমার সফরে যাবেন।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও চরম উদ্বেগজনক।
এদিকে আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন শুরুর আগে ৪ মে ৫৭টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাবেন।
Advertisement
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম