ভারতে পুলিশের যৌথ অভিযানে ৬ নারীসহ অন্তত ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাওবাদী দমনে পুলিশের স্পেশাল বাহিনী ও প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনী (গ্রেহাউন্ড) দিয়ে এ যৌথ অভিযোন চালানো হয়। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Advertisement
এতে সহযোগিতা করে ছত্তিশগড় পুলিশ ও ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজাপুর জেলার সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স। তবে সংঘর্ষে কোনো পুলিশ সদস্যের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলি জেলার সীমান্তে ৩৯ মাওবাদী নিহতের কয়েকদিন পর এ অভিযান চালানো হল। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার এ অভিযান চালানো হয়।
ছত্তিশগড়ের মাওবাদী দমনে পুলিশের স্পেশাল ফোর্সের ডিজি ডিএম অশ্বতী জানান, যৌথবাহিনীকে গত সোমবার অপারেশনে পাঠানো হয়। চারদিন পর শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গুলি বিনিময় হয়।
Advertisement
প্রায় দুই ঘন্টা ধরে গুলি বিনিময় চলে। লিমিড পুলিশ স্টেশন থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে একটি পাহাড়ি উপত্যকায় দু'পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলে।
পাহাড়ি উপত্যকাটি মাওবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত বলে জানান তিনি। পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
তবে ঘটনাস্থল থেকে বন্দকুযুদ্ধে বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতরা বিদ্রোহীদের জ্যেষ্ঠ কেউ হবেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ বোর রাইফেল, একটি সিঙ্গেল ব্যারেল রাইফেল, একটি এসএলআর, তিনটি হাত বোমা এবং ছয়টি রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
ছত্তিশগড় পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল জ্যেষ্ঠ মাওবাদী কমান্ডার হরিভুষন ও দামাদোর ওই এলাকায় রয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে যেসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ওই দুইজনের মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
চলতি বছরের মার্চে বিজাপুরের পুজারিকঙ্কর এলাকায় গ্রেহাউন্ড দিয়ে অভিযান চালিয়ে ১০ মাওবাদীকে হত্যা করা হয়। শত্রুদের সহজেই সনাক্ত করতে বিশেষ করে মাওবাদী দমনে ভারতীয় পুলিশ প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে থাকে।
এসআর/টিটিএন/এমএস