সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, গত কয়েক বছরে আমরা ঢাকায় কোনো আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করতে পারিনি। তাই বলে আমরা ক্ষান্ত দিইনি। আগামীতে ঢাকায় আবার আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করার প্রচেষ্টা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
Advertisement
শুক্রবার) বিকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে 'ঢাকা বইমেলা ২০১৮' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীস কুমার সরকার।
Advertisement
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, উন্নত মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি সুস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় ঘটাতে হবে। আর সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে জ্ঞানার্জন তথা বই পড়া।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে রুচি ও মানসিকতা সৃষ্টি করতে পারলে সংস্কৃতিমনা মানুষের যেমন অভাব হবে না, তেমনি বই পড়ার লোকের অভাব হবে না।
উল্লেখ্য, সাত দিনব্যাপী এ বইমেলা শুক্রবার ২৭ এপ্রিল শুরু হয়ে আগামী ৩ মে শেষ হবে।
Advertisement
এমইউ/জেডএ