দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে ডিশ ব্যবসা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি রোড়ে ক্যাবল টিভির (ডিশ সংযোগ) প্রায় পাঁচশতাধিক লাইন দখল-বেদখল নিয়ে গুলিতে ফরিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে গুলির পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিহত ফরিদুল ইসলাম (৩৫) নগরের চকবাজার থানাধীন ডিসি রোডের চান মিয়া মুন্সি লাইন এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিসি রোড়ে ক্যাবল টিভির সংযোগ দেয়ার ব্যবসা করে আসছিল কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক। ওই এলাকায় পাঁচশতাধিক লাইন রয়েছে। লাইনগুলো দখলে নেয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে স্থানীয় একটি পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ডিসি রোড় কবরস্থান থেকে মিয়ার বাপের মসজিদ পর্যন্ত কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

পরে বিকেল ৪টার দিকে ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্নে জড়িতদের সঙ্গে কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াকের পক্ষে লোকজন মুখোমুখি হয়। এ সময় কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওর্য়াকের পক্ষে যাওয়া ফরিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Advertisement

স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গুলি করে একদল লোক পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা যায়। এ ঘটনায় জড়িত পক্ষের নেতৃত্বে আছেন এমদাদুল হক বাদশা। তিনি যুবদল করেন, ডা. শাহাদাতের অনুসারী।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফরিদুলকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তখন তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক। তার বুকে গুলি লেগেছিল।

কেসিটিএন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের পরিচালক শ্যামল পালিত কাঞ্চন বলেন, কয়েকদিন আগে দিদার মার্কেট এলাকায় আমাদের ১২জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি আমরা। পুলিশ এ অভিযোগ জিডি হিসেবে রেকর্ড করেই দায় সেরেছে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, ডিশের লাইন দখল-বেদখলের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একজন মারা গেছেন। কে গুলি করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

জেডএ/পিআর