অর্থনীতি

সপ্তাহজুড়ে সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন

এক সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহজুড়ে (২২ থেকে ২৬ এপ্রিল) শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচকই আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ৩০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৩২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ২১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এই সূচকটি বাড়ে ১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১২৭টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।

মূল্য সূচকের সঙ্গে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০১ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ১ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০ দশমিক ৬৯ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক ১২ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

Advertisement

এদিকে মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণ ফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ব্র্যাক ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ওসমানিয়া গ্লাস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আমরা নেটওয়ার্ক।

এমএএস/এমআরএম/পিআর