দেশজুড়ে

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ‘বাবা আরিফ’ সেই রুনুর স্বামী

মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সাইফুল ইসলাম আরিফ (৩৫) ওরফে ‘বাবা আরিফ’ নারায়ণগঞ্জে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের এএসআই সোরয়ার্দী রুবেলের সঙ্গে আটক হওয়া পরকীয়া প্রেমিকা সাবিনা আক্তার রুনুর স্বামী।

Advertisement

বুধবার রাত ২টার দিকে আরিফকে নিয়ে মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারে ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি এলাকায় গেলে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরিফ নিহত হয়।

এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আরিফের মরদেহ মুন্সিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাতে শতাধিক ইয়াবাসহ সাইফুল ইসলাম আরিফ ওরফে বাবা আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ।

Advertisement

এ সময় ওঁৎপেতে থাকা তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আরিফকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইয়াবা ব্যবসার সূত্র ধরে আরিফরে স্ত্রী রুনুর সঙ্গে পরিচয় হয় পুলিশের এএসআই সোরয়ার্দী রুবেলের সঙ্গে। একসময় তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তবে সে সম্পর্ক একটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় রুনু নারায়ণগঞ্জে আসলে সদর থানায় কর্মরত সোরয়ার্দী রুবেল রুনুকে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

মুক্তিপণ দিয়ে রুবেলের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপারটি জানালে পুলিশ রুবেলের বন্দরের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা ও সদর থানায় ডিউটিরত অবস্থায় রুবেলের ব্যাগ তল্লাশি করে আরও ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকায় পরের দিন মুন্সিগঞ্জ থেকে বাবা আরিফের স্ত্রী সাবিনা আক্তার রুনুকেও গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ। বর্তমানে রুবেল ও রুনু কারাগারে রয়েছেন।

এএম/পিআর