রাজধানীর মিন্টো রোডে খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিকমানের একটি পাঁচতারকা হোটেল ও মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন হবে।
Advertisement
শাহবাগ মোড় থেকে এগিয়ে সামনের সিগন্যালে আসলেই দক্ষিণ ও উত্তর পাশে চোখে পড়ে দুটি অত্যাধুনিক বহুতল ভবন। এর একটি পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, যা দক্ষিণে অবস্থিত। আর উত্তর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমই্উ) মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারটি।
এ পথে চলা বাস, প্রাইভেটকার, জিপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের চোখে পড়ে এই দুটি ভবন। সবার জিজ্ঞাসা, কবে হবে এ দুটি ভবনের উদ্বোধন। সুনির্দিষ্টভাবে দিনক্ষণ বলা না গেলেও চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান দুটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
২০১৪ বছর ১ সেপ্টেম্বরের আগে সংস্কারের জন্য পাঁচতারকা হোটেলটি (সাবেক রূপসী বাংলা) বন্ধ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, হোটেলটি বন্ধ কারার আগে এই মিন্টু রোডের এ স্থানটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ও ব্যস্ততা ছিল। তবে গত সাড়ে তিন বছর যাবৎ ব্যস্ততা একেবারেই কমে গেছে।
Advertisement
খুব শিগগিরই এই পাঁচতারকা হোটেল ও মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারটির উদ্বোধন হলে আগের মতো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ও রাস্তার ব্যস্ততা বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় আগে শাহবাগে প্রায় সাড়ে চার একর জমির ওপর যাত্রা শুরু করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক চেইন হোটেল শেরাটন এটির পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ২৭ বছর পরিচালনার পর শেরাটন ব্যবসা গুটিয়ে চলে গেলে এটি সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের (বিএসএল) তত্ত্বাবধানে ‘রূপসী বাংলা’ নামে যাত্রা শুরু করে। বছর চারেক পরিচালনার পর ইন্টারকন্টিনেন্টালের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি হয়।
আগে এই হোটেলে অতিথিদের জন্য ২৭০টি কক্ষ ছিল। প্রতিটি রুমের আয়তন ছিল ২৬ বর্গমিটার। বর্তমানে রুমের আয়তন ৪০ বর্গমিটারে বাড়িয়ে কক্ষের সংখ্যা কমিয়ে ২২৬টি করা হয়েছে। ২২৬টি কক্ষের মধ্যে ২০১টি কক্ষ ডিলাক্স, প্রিমিয়াম ও এক্সিকিউটিভ কক্ষ হিসেবে বরাদ্দ থাকবে। বাকি ২৫টি বিভিন্ন ধরনের স্যুট কক্ষ হিসেবে থাকবে। কক্ষের আয়তন বাড়ার পাশাপাশি নকশা ও সুযোগ-সুবিধাও উন্নত করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সামগ্রী।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করতে দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। গত জানুয়ারি মাসে মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তখন তিনি বলেছিলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
বিএসএমএমইউর একজন প্রোভিসি জাগো নিউজকে বলেন, কিছুদিন আগে নতুন ভিসি যোগদান করায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
খুব শিগগিরই এটি উদ্বোধন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ ধরনের একটি মেডিকেল কনভেনশন সেন্টারের খুবই প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে যোগ দিতে প্রতিনিয়ত বিদেশিরা আসছেন। তাদের জন্যও এটা কাজে লাগবে।
এমইউ/জেডএ/পিআর