খেলাধুলা

ইনিংস ব্যবধানে নর্থকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সাউথ

মাত্র ৩৬৫ রান করেও ইনিংসের বিশাল ব্যবধানে নর্থ জোনকে হারিয়ে দিয়েছে সাউথ জোন। সে সঙ্গে ৬ষ্ঠ রাউন্ড থেকে বোনাসসহ মোট ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বিসিসিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো মাশরাফি-রাজ্জাকদের দল। নর্থ জোনকে তারা হারিয়েছে ইনিংস ও ৬৩ রানের বিনিময়ে।

Advertisement

বিসিএলের এই রাউন্ডে (৬ষ্ঠ) খেলেছেন মাশরাফিও। তার সঙ্গে যে ভাগ্য জড়িত, সেটাই বোঝা গেছে এবার। কারণ, সাউথ জোনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। ৬ষ্ঠ রাউন্ড শুরু করার আগে সাউথের পয়েণ্ট ছিল ৪৭। নর্থ জোনের পয়েণ্ট ছিল ৬০।

নর্থ জোনের চ্যাম্পিয়নশিপ বলতে গেলে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইনিংস ব্যবধানে হারের কারণে, তাদের নামের পাশে যোগ হলো মাত্র ২ পয়েণ্ট। সব মিলিয়ে ৬ রাউন্ড শেষে সাউথ জোনের পয়েণ্ট দাঁড়াল ৬৫ এবং নর্থ জোনের পয়েন্ট দাঁড়াল ৬২। বাকি দুই দল সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের খেলা এখনও শেষ হয়নি। ওই ম্যাচে ফল হলেও সাউথ জোনকে টপকে যেতে পারবে না আর কেউ।কিন্তু খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নর্থ জোনকে একাই বিধ্বস্ত করে ছেড়েছেন আবদুর রাজ্জাক। দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নিলেন রাজ্জাক। তার এই বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৫ রানে অলআউট নর্থ জোন। প্রথম ইনিংসে ৫টির সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন রাজ্জাক।

টস জিতে ৬ষ্ঠ রাউন্ডের শুরুর দিন নর্থ জোনকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সাউথের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাট করতে নেমে আবদুর রাজ্জাকের ঘূর্ণি তোপে পড়ে মাত্র ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় নর্থ জোন। সোহরাওয়ার্দি শুভ ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ রান করেন নাজমুল হাসান শান্ত। রাজ্জাক ৫৩ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। সাকলায়েন সজিব নেন ২ উইকেট এবং মাশরাফি ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন ১টি করে উইকেট।

Advertisement

জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৬৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে সাউথ জোন। ১০৭ রান করেন ইমরুল। এনামুল হক বিজয় করেন ৮৯ রান। তুষার ইমরানের ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৪৯ রান।

১৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে নর্থ জোন। কিন্তু এবারও তারা পড়ে গেলো রাজ্জাকের ঘূর্ণি তোপের সামনে। কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারলো না নর্থ জোনের। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন সোহরওয়ার্দি শুভ। ২০ রান করেন মিজানুর রহমান। ৪৩.২ ওভার ব্যাট করেই ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় নর্থ জোন।

আবদুর রাজ্জাক ৪৮ রান দিয়ে নিলেন ৬ উইকেট। ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাকলায়েন সজীব এবং ইমরুল কায়েস ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে পেলেন ১ উইকেট।

আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement