আন্তর্জাতিক

‘শরীরের বিনিময় রাজনীতিতেও আছে’

শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয়ার রীতিকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কাস্টিং কাউচ’ বলে মনে করা হয়। কিন্তু সংসদও ‘কাস্টিং কাউচ’ থেকে মুক্ত নয় বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সংসদ সদস্য রেণুকা চৌধুরী। তার যুক্তি, ‘কাস্টিং কাউচ’কে বৃহত্তর অর্থে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বলে বুঝিয়েছেন তিনি!

Advertisement

রাজ্যসভায় রেণুকার মেয়াদ গত মাসে শেষ হয়েছে। কিছু দিন আগে সংসদে রেণুকার হাসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা আর সে নিয়ে শূর্পণখার ভিডিও পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার রেণুকা সেই প্রসঙ্গ টেনে বোঝাতে চেয়েছেন, এটাও কর্মক্ষেত্রে হয়রানি!

কিন্তু ‘কাস্টিং কাউচ’-এর কথায় সংসদকে টেনে আনলে নানা জল্পনা তৈরি হয়! সংসদীয় বিধিভঙ্গের সম্ভাবনাও থাকে। ঘরোয়া আড্ডায় অনেকে তাই বলছেন, বিষয়টা নিয়ে না ঘাঁটানোই ভাল! কোন কেঁচো খুঁড়তে কী কেউটে বেরিয়ে পড়ে! বস্তুত রেণুকা নিজেও সেটা বুঝেই বিষয়টিকে সার্বিকভাবে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বলে দাবি করতে চেয়েছেন বলেই তাদের মত।

রেণুকার মন্তব্য অবশ্য আকাশ থেকে পড়েনি। ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়িয়ে তুমুল বিতর্ক বাধিয়ে বসে আছেন নৃত্যনির্দেশক সরোজ খান। তেলুগু অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি সম্প্রতি কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে অর্ধনগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করেন।

Advertisement

সেই প্রশ্নের উত্তরে সরোজ বলেন, ‘কাস্টিং কাউচ চিরকাল ছিল, সর্বত্র ছিল। সরকারও পারলে মেয়েদের থেকে সুযোগ নিতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে সব সময় কেন আঙুল ওঠে? ইন্ডাস্ট্রি তো তা-ও রুটির ব্যবস্থা করে! ধর্ষণ করে ফেলে দিয়ে যায় না!’

তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে সরোজ ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘কাস্টিং কাউচকে সমর্থন বা বৈধতা দিতে চাইনি। ইন্ডাস্ট্রিকে একা বদনাম করা উচিত নয়, এটুকুই বলতে চেয়েছিলাম।’

হলিউডে ‘মি-টু’র পর ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কেন সরব হচ্ছে না, এই প্রশ্ন বারবার উঠছে। রেণুকার মতে, ‘গোটা দেশেরই ‘মি-টু’ বলে ওঠার সময় এসেছে। শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, কাস্টিং কাউচ সব জায়গাতেই আছে। মনে করার কারণ নেই, সংসদ বা অন্য কর্মক্ষেত্র এই ব্যাধি থেকে মুক্ত!’ আনন্দবাজার।

Advertisement

এসআইএস/এমএস