জাতীয়

চিকিৎসা-ব্যাংকিং-প্রযুক্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী ভারতীয় উদ্যোক্তা

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যাংকিং খাতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

Advertisement

বুধবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সফররত ১৮ সদস্যবিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদলের সভা হয়। সভায় এ আগ্রহের কথা জনায় ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি চন্দ্র শেখর ঘোষ। এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনাপর্ব পরিচালনা করেন। এফবিসিসিআই পরিচালক ও সংগঠনের সদস্য সংস্থাগুলোর প্রধানরা আলোচনায় অংশ নেন। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির একটি দেশ হিসেবে এখন বিশ্বস্বীকৃত এবং সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাই বৃহৎ বাজারের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার হতে পারে। দেশ দুটির বিদ্যমান বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখা দরকার।

বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির বাণিজ্য উদ্যোক্তারা চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যাংকিং খাতে যৌথভাবে কাজ করলে সুফল আসবে।

Advertisement

২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৭ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রফতানি করে এবং ভারত থেকে ৬১৬ কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারতে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, প্রকৌশল সামগ্রী এবং নিটওয়্যার। আর ভারত থেকে মূলত টেক্সটাইল এবং টেক্সটাইল সামগ্রী, সবজি, মেশিনারি এবং ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং রাসায়নিক সামগ্রী আমদানি করা হয়।

এসআই/জেডএ/আরআইপি