বাংলাদেশি সিনেমার বিশ্ব পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো। প্রতিষ্ঠানটি এবার বিশ্ববাজারে মুক্তি দিতে চলেছে ‘মনপুরা’খ্যাত নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ছবিটি। বিশ্ববাজারে এর যাত্রা হচ্ছে আগামী শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল।
Advertisement
একইদিনে বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে হলিউডের জমজমাট চলচ্চিত্র এভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার। তাই এভেঞ্জার্সের সাথে লড়তে হচ্ছে ‘স্বপ্নজাল’-কে। আশার কথা হলো, ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমার জন্য রেকর্ড ১০৭টি শো নিয়েই কানাডায় প্রথম সপ্তাহ শুরু করছে স্বপ্নজাল। এভেঞ্জার্স মুক্তির সপ্তাহে এ লড়াইয়ে আশাবাদী পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা বাংলাদেশকে খুঁজে ফিরেন। যতবার তারা ‘স্বপ্নজাল’ দেখবেন, বাংলাদেশকে খুঁজে পাবেন।’
কানাডার বিশ্বখ্যাত চেইন ‘সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট’র পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে ওইদিন মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। এর পরের সপ্তাহে (৪ মে) আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ‘রিগাল’ চেইনে প্রথম পর্যায়ে তিনটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘স্বপ্নজাল’। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোয়ের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে আমেরিকায় আরো বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত ও ওমানে মুক্তি পাবে ‘স্বপ্নজাল’।’
সিনেমার প্রধান চরিত্রে আছেন পরীমনি ও ইয়াশ রোহান। আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মিশা সওদাগর, ইরেশ যাকের প্রমুখ।
Advertisement
স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোয়ের পরিবেশনায় ‘স্বপ্নজাল’ কানাডায় ২৭ এপ্রিল ‘সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট’ চেইনে মুক্তি পাচ্ছে ইয়াং-ডান্ডাস স্কয়ার (টরন্টো), এগলিন্টন টাউন সেন্টার (টরন্টো), সিনেমা সিটি মুভিজ ১২ (এডমন্টন), সানরিজ স্পেক্ট্রাম সিনেমাস (ক্যালগেরি) ও সিনেমা সিটি নর্থগেট (উইনিপেগ) এই ৫টি প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে ‘সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট’র সবচেয়ে বড় প্রেক্ষাগৃহ টরন্টোর ইয়াং-ডান্ডাস স্কয়ারে এবারই প্রথমবারের মত মুক্তি পাচ্ছে কোনো বাংলাদেশি সিনেমা।
‘স্বপ্নজাল’ আমেরিকায় রিগাল চেইনে ৪ মে মুক্তি পাচ্ছে রিগাল ইউ এ কাফম্যান এস্টোরিয়া (নিউইয়র্ক), রিগাল বলস্টন কমন্স (ভার্জিনিয়া) ও রিগাল রয়াল পাম বিচ (ফ্লোরিডা) এই ৩টি প্রেক্ষাগৃহে।
বিশ্ব পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোয়ের পরিবেশনায় ২০১৬ সালে কানাডায় শুরু হয়ে ২০১৭ বছরে বাংলাদশের সিনেমার বাজার বিস্তৃৃত হয় আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। মূল কার্যালয় কানাডা। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর হাত ধরেই রিগাল, সিনেমার্ক, সিনেপ্লেক্স এন্টারটেইনমেন্ট, ভক্স এমনসব বিশ্বখ্যাত চেইনে মুক্তি পাচ্ছে আমাদের সিনেমা।
বিশ্ববাজারে এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে অস্তিত্ব, মুসাফির, শিকারী, আয়নাবাজি, প্রেমী ও প্রেমী, পরবাসিনী, নবাব, ঢাকা অ্যাটাক, হালদা, গহীন বালুচর। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সিনেমার বাজার বিস্তৃৃত হবে ইংল্যান্ড ও অষ্ট্রেলিয়ায়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি একটি সিনেমার জন্য বিশ্ববাজারে উন্মুক্ত থাকবে দুই মিলিয়ন ডলারের উপর বাজার।
Advertisement
এলএ/আরআইপি