অবৈধ পানি ব্যবসায়ীদের বিষয়ে বিএসটিআইকে তথ্য দিতে বৈধ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম।
Advertisement
মঙ্গলবার বিশুদ্ধ পানি বাজারজাত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইর লাইসেন্স না নিয়ে বিশুদ্ধ পানি বাজারজাত করছে ইতোমধ্যে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) প্রধান কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
মহাপরিচালক সরদার আবুল কালামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী এস. এম. ইসহাক আলীসহ বিএসটিআইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আরও বক্তব্য রাখেন।
সভায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ মিনারেল অ্যান্ড পিউরিফাইড ড্রিংকিং ওয়াটারের সভাপতি প্রকৌশলী এ. মতিন চৌধুরী, পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আওলাদ হোসেন রাজীব, সাধারণ সম্পাদক কে.এম. আরিফ উল কবীরসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, উৎপাদনকারীদের দায়িত্ব বিশুদ্ধ পানি ভোক্তার হাতে পৌঁছে দেয়া। যারা বিএসটিআই থেকে সনদ নিয়েছেন তারা মানের বিষয়ে কোনো আপোষ করবেন না।
সভায় বৈধ লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পানির জার বা বোতলের গায়ে ব্র্যান্ডের নাম, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ মানসম্মত লেবেলিং ব্যবহার এবং ডিলারের মাধ্যমে পানি বাজারজাত বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
Advertisement
সভায় তথ্য জানানো হয়, গত বছরের মে থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অবৈধ ড্রিংকিং ওয়াটারের বিরুদ্ধে বিএসটিআই মোট ১৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মোট ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়, ১৬টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং ৩৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদানসহ ২৬ হাজার ১০০টি জার ধ্বংস করা হয়েছে।
এমএ/এমএমজেড/পিআর