জাতীয়

উত্তরার পর শেরেবাংলায় বসছে মেট্রোরেলের স্প্যান

এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রথম স্বপ্নের মেট্রোরেলের কাজ। এর মধ্যেই রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে দৃশ্যমান হয়েছে প্রথম স্প্যান। এবার দ্বিতীয় স্প্যান বসবে শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের সামনে। ইতোমধ্যে দুইটি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলেই দুটি পিলারকে যুক্ত করে আগামী এক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হবে দ্বিতীয় স্প্যান।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, এই পিলার দুটি স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এই স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে। দিন-রাত কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকৌশলী ও কর্মীরা। চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে কাজ।

স্প্যান বসানোর বিষয়ে কর্মরত শ্রমিক আরিফুল ইসলাম স্বপন জানান, এখন পিলার বসানোর কাজ চলছে। শিগগিরিই দুটি পিলারে স্প্যান বসানো হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে তা দৃশ্যমান হবে।

প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ বাকি মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুসারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে শেরেবাংলা নগরে দুইটি পিলারে স্প্যান বসানো হবে। আগামী একমাসের মধ্যে এটি দৃশ্যমান হবে।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এছাড়া ধারাবাহিকভাবে আরও কিছু পিলারেএখানে বসানো হবে। কিন্তু স্প্যানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে কিনা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি সেতুমন্ত্রীর উপর নির্ভর করছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ২০ দশমিক এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথে ৭৭০টি স্প্যান বসনো হবে। প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে চলছে মেট্রোরেল রেল প্রকল্পের কাজ। কিছুদিনের মধ্যে আগারগাঁও পয়েন্টে বসানো হবে দ্বিতীয় স্প্যান।

আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগেই মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশ ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। দুটি অংশে ভাগ করে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে চলছে। মূল ডিপো নির্মাণ এবং চলাচলের লাইন। এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত পাইলিং শেষ হয়েছে। এখন মাটির উপরের অংশে পিলার নির্মাণ করে তার ওপর বসানো হবে স্প্যানগুলো।

প্রায় ৫৯ একর জায়গার ওপর নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেলের মূল ডিপো। যেখান থেকে ৪ মিনিট ১৯ সেকেন্ড পর পর ছেড়ে যাবে ৬ জোড়া বগির বিদ্যুৎচালিত অত্যাধুনিক ট্রেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই ডিপোর কাজ শেষ হবে।

Advertisement

এর আগে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শাহজাহান জানিয়েছেন, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রতিঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী উভয় দিক থেকে আসা যাওয়া করতে পারবে মেট্রোরেলে। এছাড়া আগামী বছর জাপানের গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কাওয়াসাকি-মিৎসুবিশি থেকে কোচ আমদানি করা হবে। বিদ্যুৎচালিত এই ট্রেনে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে দুটি প্ল্যান্টও নির্মাণ করা হচ্ছে।

এমএ/জেএইচ/পিআর