সত্যিই আর কত রেকর্ড করবেন সালাহ? প্রশ্নের উত্তরটা বোধহয় সালাহ নিজেও জানেন না। নিজের প্রথম মৌসুমে এসেই লিভারপুলের সব পুরনো ইতিহাসকে আবার সবার চোখের সামনে নিয়ে আসছেন মিশরের এই ফুটবলার। রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি গড়ছেন নতুন ইতিহাসও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি ফাইনালকে এবার ইতিহাস গড়ার মঞ্চ বানালেন মিশরীয় কিং খ্যাত এই ফুটবলার। রোমাকে ৫-২ গোলে হারানোর ম্যাচে যেন নিজেকে আরো একবার ছাপিয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছিলেন তিনি।
Advertisement
রোমার বিপক্ষে জোড়া গোল এবং জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন সালাহ। জোড়া গোল করার সুবাদে বর্তমানে মৌসুমে রোনালদোকে (৪২) টপকে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ভেতর সর্বোচ্চ ৪৩ গোলের মালিক এখন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান মৌসুমে করেছেন ১০ গোল যা এই টুর্নামেন্টে কোনো লিভারপুল ফুটবলারের সর্বোচ্চ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল ইতিহাসের সেমিফাইনালে এর আগে কখনো এক ম্যাচে ২ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট করতে পারেননি কোনো ফুটবলার। নতুন এই ইতিহাস ঘরের মাঠ এনফিল্ডেই গড়লেন সালাহ। তাছাড়া সালাহর সামনে এখন হাতছানি দিচ্ছে লিভারপুলের হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। ইউয়ান রাশ ৪৭ গোল করেছিলেন। সালাহ তার ৪ গোল পেছনেই অবস্থান করছেন।
এতো গেল শুধু সালাহর রেকর্ডের কড়চা। রোমাকে হারানোর দিনে আরো কিছু রেকর্ডের সাক্ষী হচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে কম ১১টি ম্যাচ খেলে ১০ গোল করার রেকর্ড গড়েন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফিরমিনো। তাছাড়া মেসি-নেইমারের পর দ্বিতীয় জুটি হিসেবে সালাহ এবং ফিরমিনো এক মৌসুমে দুজনেই দশ বা তার বেশি গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন।
২৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে আবারো দেখা গেল সাত গোলের এক রোমাঞ্চকর ফুটবল ম্যাচ। ১৯৯৫ সালে সর্বশেষ আয়াক্স ৫-২ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্নকে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে পঞ্চমবার সাত বা তার বেশি গোলের সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি যে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো দলই প্রথম লেগ ৫-২ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগ জিতে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে পারেনি।
Advertisement
আরআর/বিএ