হচ্ছে হচ্ছে করেও হচ্ছিল না বিরল রেকর্ডটির। একটি মাত্র উইকেটের জন্য তিন ম্যাচ অপেক্ষা করতে হলো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। অবশেষে দুই ম্যাচ অপেক্ষার পর তৃতীয় ম্যাচে এসে পেলেন উইকেটের দেখা। মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে শিখর ধাওয়ানের ক্যাচে পরিণত করার সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪০০০ রানের পাশাপাশি ৩০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন সাকিব আল হাসান।
Advertisement
দুটি মাইলকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের এলিট ক্লাব এবং আইপিএলে ৫০০ রান ও ৫০ উইকেটের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করার সুযোগ। আইপিএলে খেলতে যাওয়ার আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের রান ছিল ৩৯৮০ এবং উইকেট সংখ্যা ছিল ২৯৪। এই দুটো ছুঁতে বল হাতে সাকিবকে নিতে হতো ৭টি উইকেট। তবে ৬টি উইকেট নিলেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট এবং ৪০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন তিনি।
হায়দরাবাদের হয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচেই ৫ উইকেট দখল করেন সাকিব। সবার প্রত্যাশা ছিল চতুর্থ ম্যাচেই হয়তো ছুঁয়ে ফেলবেন ৩০০ উইকেটের মাইলফলক; কিন্তু কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ২ ওভার বোলিং করে ২৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। অপেক্ষাটা বাড়ান রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত।
গত রোববার চেন্নাইয়ের বিপক্ষেও ম্যাচেও উইকেটশূন্য থাকলেন সাকিব। নিজের কোটার পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচ করলেও নিতে পারেননি কোনো উইকেট। অবশেষে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এই রেকর্ডটা স্পর্শ করলেন তিনি। এই ক্লাবের একমাত্র সদস্য ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। তবে টি-টোয়েন্টিতে শুধু ৩০০ উইকেট নেয়ার তালিকায় সাকিব পঞ্চম। তার আগের চার সদস্য হলেন ডোয়াইন ব্র্যাভো, সুনিল নারিন, শহিদ আফ্রিদি এবং লাসিথ মালিঙ্গা।
Advertisement
আইএইচএস/বিএ